রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ৯ বছরের ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে হাসেমিয়া ইসমাঈলিয়া মাহমুদিয়া সুন্নিয়া হেফজখানা ও এতিমখানার শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এফ ব্লক এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এদিন রাতেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী ছাত্র ওই এতিমখানার হেফজ বিভাগের ছাত্র। অভিযুক্ত দেলোয়ার একই এতিমখানার শিক্ষক। প্রায় দেড় মাস আগে থেকে শিক্ষক দেলোয়ার ওই ছাত্রকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছে। সর্বশেষ গত ১৯ জুন ভুক্তভোগী ছাত্রকে ওই শিক্ষক তাঁর এতিমখানার শয়নকক্ষে ধর্ষণ করেন। ভয়ে এ ঘটনা ওই ছাত্র পরিবারের কাউকে বলেনি। ঈদুল আজহায় সে বাড়িতে এলে এতিমখানায় ফিরে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে সে পরিবারকে এ বিষয়ে বলে। পরে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলামকে জানান ছাত্রের বাবা। তবে সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ভুক্তভোগী ছাত্রকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে কালক্ষেপণ করেন। পরে তিনি থানায় মামলা করেণ।
এ বিষয়ে হাসেমিয়া ইসমাঈলিয়া মাহমুদিয়া সুন্নিয়া হেফজখানা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ আলী সঙ্গে যোগাযোগ করো হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহম্মেদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের পর রাঙামাটির আদালতে পাঠানো হয়।