হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা আশ্রয়ণকেন্দ্র থেকে এক কিশোরীকে (১৪) ৩০ হাজার টাকায় কিনে এনে চার মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহি উদ্দিন চৌধুরী ও ইউপি সদস্য মো. নুর আলমের সহায়তায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরে চরজব্বার থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওই কিশোরীর বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহি উদ্দিন চৌধুরী জানান, গত ৪ মাস আগে দালালের মাধ্যমে ওই কিশোরীকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনে সুবর্ণচরে নিয়ে আসেন এক যুবক। পরে উপজেলার খাসেরহাট রাস্তার মাথা এলাকার একটি বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে আটকে রেখে ওই কিশোরী ধর্ষণ করা হয়। একদিন ওই যুবক বাড়িতে না থাকায় তাঁর অপর সহযোগীও কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বুঝতে পারলে কিশোরীকে একা রেখে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেন স্থানীয়রা।
মো. মহি উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘স্থানীয়রা আমাকে বিষয়টি জানালে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করি। পরে চরজব্বার থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।’
ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, অভিযুক্ত ওই যুবক তাকে বিয়ে করেননি। তবে সে ওই যুবককে বিয়ে করতে চায়। তবে, ওই যুবকের এক সহযোগী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে।
এ বিষয়ে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।