কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কিশোরীকে মাইক্রোবাসে তুলে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বুড়িচং থানা-পুলিশ। প্রযুক্তির ব্যবহার করে গতকাল শুক্রবার রাতে জেলার সদর দক্ষিণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ধর্ষকদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আজ শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২৭ ডিসেম্বর ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজারসংলগ্ন পরিহলপাড়া এলাকার একটি কবরস্থান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় এক কিশোরীকে (১৬) উদ্ধার করে বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশ। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোরী জানায়, তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানায়। তাকে রাস্তা থেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় লোক বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে পরিহলপাড়া এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলা করেন।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার পর থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ উল ইসলাম ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। পরে প্রযুক্তির ব্যবহার করে গতকাল শুক্রবার রাতে জেলার সদর দক্ষিণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পাইন্না শিকারপুর গ্রামের রাকিব হোসেন (২০), চৌধুরী খোলা গ্রামের মুক্তার হোসেন (২৮) ও রাজার খোলা গ্রামের জহিরুল ইসলাম (২৭)।
দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ উল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামিকে কুমিল্লা আদালতে হাজির করলে তাঁরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দন।’