হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

ছাত্রলীগকর্মী তাহসিন হত্যা মামলায় সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ৭ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক ,চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পুলিশকে গুলি ছোড়া ও হত্যা মামলার আসামি আলোচিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে ছাত্রলীগকর্মী আফতাব উদ্দিন তাহসিন হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে (৩০) সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালত পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, তাহসীন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছোট সাজ্জাদকে আদালতে তোলার পর তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও থানার অদূর পাড়ায় জাগরণী সংঘ ক্লাব এলাকায় কালো নোয়া গাড়িতে এসে সন্ত্রাসীরা তাহসিনকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। এই ঘটনায় ২২ অক্টোবর রাতে নগরের চান্দগাঁও থানায় নিহতের বাবা মো. মুছা বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সাজ্জাদসহ পাঁচজনের নামে ও অজ্ঞাতনামা তিন/চারজনকে আসামি একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ জানায়, ইট ও বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড।

জানা যায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, বায়েজিদ বোস্তামি, চান্দগাঁও এবং পাঁচলাইশ এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন সাজ্জাদ ওরফে ‘বুড়ির নাতি’। গণ–অভ্যুত্থানের পর মূলত এই সন্ত্রাসী বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। জুলাই ও সেপ্টেম্বরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে গুলি করে তিনজনকে হত্যা ও প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নগরীতে এখন শীর্ষ সন্ত্রাসীর তকমা পেয়েছেন সাজ্জাদ। তাঁকে ধরতে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয় পুলিশ।

অবশেষে গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং কমেপ্লেক্স এলাকায় তেজগাঁও থানা পুলিশের সহায়তায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বিশেষ একটি টিম সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে।

আজ তাঁকে চট্টগ্রামে আনার পর সিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, সাজ্জাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র সংক্রান্ত মোট ১৫টি মামলা রয়েছে। তিনি মূলত ভারতে অবস্থানরত সাজ্জাদ হোসেনের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে চট্টগ্রামের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন।

বায়েজিদ থানার আলোচিত ডবল মার্ডার মামলার প্রধান আসামি ছোট সাজ্জাদ। এছাড়া এই সন্ত্রাসী চান্দগাঁও থানার তাহসিন হত্যা মামলার আসামি। মূলত চট্টগ্রামের বিভিন্ন নির্মানাধীন ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজিতে জড়িত।

তাঁকে চাঁদা দিতে কেউ অস্বীকার করলে তাঁর বাড়িতে কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুলি ছুড়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন। এ ধরনের অনেকগুলো ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

কিছুদিন আগে ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।

গত বছরের ৫ ডিসেম্বরে নগরের অক্সিজেন মোড় এলাকায় তাঁকে ধরতে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান সাজ্জাদ। তখন পুলিশের দুই সদস্যসহ মোট ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে ধরতে গত ৩০ জানুয়ারি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

লঞ্চে নবজাতকের জন্ম, আজীবন ফ্রি যাতায়াত

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ২ দফা মাইন বিস্ফোরণ, মরল কুকুর ও বন্য শূকর

বিয়ে করলেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ নেতা রাফি, কনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু

গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, অভিযুক্ত কারাগারে

সোনাদিয়ার সাড়ে ৯ হাজার একর জমি বন বিভাগে হস্তান্তরের উদ্যোগ

শিশু অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি: স্বামীর যাবজ্জীবন, স্ত্রীর ১৪ বছর সাজা

ভিজিএফের চাল বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

রাঙামাটিতে কৃষিকাজের সময় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু

নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে দোকান-ফার্মে হামলা, বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ

সাবেক মন্ত্রী তাজুলের পরিত্যক্ত বাড়িতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫