নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে বিশেষ ভিজিএফের ৪০ বস্তা চাল গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে চেয়ারম্যান তাঁর লোকজন দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা বলছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরিব দুস্থদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত বিশেষ ভিজিএফের ৪২০ বস্তা চাল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মজুত রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে ওই কার্যালয়ে ৩৮০ বস্তা চাল মজুত পাওয়া গেছে। সেখান থেকে ৪০টি বস্তা কমে গেছে। প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি করে চাল থাকে। আজ সকালে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ওই ইউপি কার্যালয়ের পাহারাদার গ্রাম-পুলিশ মো. হারুনকে আটক করে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ‘বাটইয়া ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীনের প্রত্যক্ষ মদদে তাঁর লোকজন পাহারাদার হারুনকে দিয়ে হত দরিদ্রদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সরিয়ে নিয়েছে। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর পাহারাদার গ্রাম-পুলিশ হারুনের ওপর দোষ চাপিয়ে চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন নিজেদের নির্দোষ হিসেবে অপরাধ ঢাকার অপচেষ্টা করছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাটি প্রশাসনকে অবহিত করেছে বলে জানান। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে জানতে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানার পর কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল মামুনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।