কক্সবাজারের রামুতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নুরুল আমিন নামে এক ট্রাকচালককে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার সকাল ১০টায় রামু ধেছুয়াপালং বাজারে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী ও স্বজনেরা। এ সময় তাঁরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরুল আমিন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৯ আগস্ট নুরুল আমিনের ঘরে ঢোকেন একই এলাকার মো. নুরুল হক, আমির হামজা, শাহাজান, আব্দুল্লা আল কাফি, আব্দুল বারী। এ সময় তাঁরা সবাই মিলে নুরুল আমিনের মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে গতকাল তাঁর মৃত্যু হয়।
খুনিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গণি বলেন, জমি বিরোধের জেরে আমিনকে খুন করা হলো। ছোট একটি বিরোধকে কেন্দ্র করে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড আগে এলাকায় ঘটেনি।
নিহত নুরুল আমিনের বড় মেয়ে তাসলিমা আক্তার রাফি আজকের পত্রিকাকে জানান, দা দিয়ে কোপানোর পর তাঁর বাবাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে থাকাকালীন অবস্থায় গতকাল বিকেল ৪টার দিকে মারা যান তাঁর বাবা।
মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে ধেছুয়াপালং ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রমিজ আহমেদ বলেন, নিহত নুরুল আমিনের পাঁচ কন্যা ও এক ছেলে আছে। এখন নুরুল আমিনের ছেলে-মেয়েদের দেখার মতো কেউ নেই।
এ বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, দা দিয়ে কোপানোর ঘটনার পর হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছিল। আহত ব্যক্তির মৃত্যুর পর এটি হত্যা মামলা হবে। আর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।