খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার রামগড় ও সোনাইপুল বাজারে একের পর এক চুরি-ডাকাতি বাড়ছে। দিনে-দুপুরে একের পর এক চুরির কারণে ব্যবসায়ীরা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বেশ কয়েকটি আলোচিত চুরি-ডাকাতির ঘটনায় সঙ্গে জড়িতরা ধরা না পড়ার কারণে এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চুরির পর থানা-পুলিশের পরিদর্শন, সংশ্লিষ্টদের সভা-সেমিনার ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে দিনে দিনে শঙ্কা আরও বাড়ছে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে গত মঙ্গলবার সোনাইপুল বাজার কমিটির নেতারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি মমতা আফরিন, উপজেলা চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামগড় সার্কেল, পৌর মেয়র ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রামগড় থানার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী থানায় মামলাও করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান জানান, বিকেলে দোকানে এসে দেখি তালা কাটা ও ক্যাশবাক্স ভেঙে তার প্রায় ৮ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। তবে চোরদের দোকানে ঢোকা ও চুরির দৃশ্য সিসি টিভিতে দেখা যাচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলা করেছেন।
রামগড় বাজারের ব্যবসায়ী লিটন বলেন, ‘আমার দোকানে প্রায় নগদ ৫ লাখ টাকাসহ ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। দোকান থেকে দামি দামি বেশ কিছু ডিভাইস নিয়ে গেছে চোর। সকালে দোকানের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারা যাওয়ার পর আজ অবধি পুলিশ চোরাইকৃত মালামাল ও চোরদের আটক করতে পারেনি।’
সোনাইপুল বাজার কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার ইসলাম শাহেদ বলেন, ‘বাজার কমিটি থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হলেও দিন-দুপুরে চুরি রোধ করা যাচ্ছে না। কয়েক দিন পরপর কোথাও না কোথায় চুরি সংঘটিত হচ্ছে। চুরি রোধে প্রশাসন আরও আন্তরিক না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তক্রমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।’
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি সোনাইপুল বাজারে চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। চোর শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে। আশা করছি শিগ্গিরই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’