কক্সবাজারের রামু উপজেলার উমখালীর মিঠাছড়ি হাজির পাড়ায় শাশুড়িকে হত্যার পর বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার বিকেলে বাড়ির পাশে টিউবওয়েলের পাশ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পুত্রবধূকে আটক করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
নিহত ব্যক্তির নাম মমতাজ বেগম (৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে মমতাজ বেগমের ছেলে বাড়ির পাশে টিউবওয়েলে যান। সেখানে নতুন খোঁড়া মাটি দেখতে পান। অল্প মাটি খুঁড়ে তাঁর মায়ের শাড়ি দেখেন। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানান। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে রামু থানা-পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটিচাপা অবস্থায় মমতাজ বেগমের ছয় টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মমতাজ বেগমের পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তিনি শাশুড়িকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ।
অভিযুক্ত রাশেদার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, গতকাল সকালে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে মমতাজ বেগমকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন রাশেদা। এরপর মরদেহ টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দী করেন তিনি। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পাশের টিউবওয়েলের পাশে বস্তাবন্দী করে মরদেহ মাটিচাপা দেন।
মমতাজ বেগমের ছেলে আলমগীর বলেন, ‘সকালে টিউবওয়েলে গেলে পাশে নতুন মাটি দেখতে পাই। নতুন মাটি দেখে সন্দেহ হওয়ায় অল্প একটু খুঁড়ে দেখি আমার মায়ের শাড়ি। শাড়ি দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দিলে তারাও পুলিশে খবর দেয়। পারিবারিক ঝগড়া ছিল তাই বলে আমার মাকে হত্যা করার মতো কিছু দেখছি না।’
ঘটনাস্থলে থাকা রামু থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মঞ্জু বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে।
এদিকে ঘটনাস্থলে আসেন রামু থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, মমতাজ বেগমকে হত্যা করে বাড়ির সামনে টিউবওয়েলের পাশে নরম মাটিতে পুঁতে ফেলেন হত্যাকারী রাশেদা। এরই মধ্যে রাশেদাকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদও চলছে।