নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দাফনের ১ মাস ২৫ দিন পর কবর থেকে তোলা হলো এক তরুণীর (১৮) মরদেহ। হত্যা মামলার পর আদালতের নির্দেশে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের পশ্চিম উরিরচর গ্রামে কবর থেকে মরদেহ তোলে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক বিক্রম চাকমা ও চরজব্বার থানা-পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহটি তোলা হয়।
গত ২৩ ডিসেম্বর তরুণীর ভাই বাদী হয়ে ওই এলাকার আবদুল মন্নান প্রধানকে অভিযুক্ত করে তিনজনের নামে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর আদালতের নির্দেশে মরদেহ তোলা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে একা থাকার সুবাদে প্রতিবেশী আবদুল মন্নান বিভিন্নভাবে ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতেন। এরই মধ্যে তিনি ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভনে তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর আবদুল মন্নানকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন এবং তরুণীকে বিয়ে করার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করেন।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর বিকেলে আবদুল মন্নানের সহযোগী আবুল কালাম ও ইমাম উদ্দিন বাবর তরুণীর বাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধমকি দেন এবং বিয়ে করার বিষয়টি ভুলে যেতে বলেন। এসব বিষয়ে কাউকে জানালে তাঁকে হত্যা করা হবে বলে হুমকিও দিয়ে আসেন তাঁরা।
এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই রাতে বসতঘরে বিষপানে আত্মহত্যা করেন তরুণী। আসামিদের অব্যাহত হুমকিতে এবং তাঁদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন—এমন অভিযোগ এনে এবং সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার আশায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করেন।
চরজব্বার থানার পুলিশ-পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে তরুণীর মৃতদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’