ফেনীর ছাগলনাইয়ায় এক কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এনামুল হক নামের এক চা দোকানদারের বিরুদ্ধে। পরে সালিসে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ১০টি বেত্রাঘাত ও নাকে খত দিয়ে এ থেকে রেহাই পান ওই দোকানি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হারেজ আহাম্মদ বলেন, ২৩ জুন সকালে ওই কিশোর বাজার করতে দোকানে গেলে এনামুল হক (৫০) দোকান বন্ধ করে ওই কিশোরকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে তা ধামাচাপা দিতে গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হন দোকানি এনামুল। গত সোমবার রাতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সালিসের আয়োজন করেন। তাঁরা ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে এনামুল হককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া তাঁকে ১০টি বেত্রাঘাত করা হয়। এ ধরনের কাজ আর করবেন না মর্মে নাকে খত দেন।
ইউপি সদস্য হারেজ আরও বলেন, সালিসে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হারেজ আহাম্মদ, মিজান, স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য হাছিনা আক্তারের স্বামী এনামুল হক এবং মো. মোস্তফা, মো. গোফরান ও মো. আলিম উল্লাহ।
এনামুল হক বলেন, ‘দুই পক্ষই গরিব। তাই মামলা হলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমরা সালিসে মীমাংসা করে দিয়েছি।’
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনুরোধে ওই কিশোরের অভিভাবকেরা বিষয়টি মীমাংসা করতে বাধ্য হয়েছেন। জানতে চাইলে ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। ঘটনাটি জানার পর আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এ ধরনের অপরাধ সালিসে রফা করার সুযোগ নেই।’