Ajker Patrika
হোম > অপরাধ > চট্টগ্রাম

‘ভাই হত্যার বিচার হলে গার্ডারের নিচে অন্য কেউ স্বজন হারাত না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

‘ভাই হত্যার বিচার হলে গার্ডারের নিচে অন্য কেউ স্বজন হারাত না’

গত সোমবার ঢাকার উত্তরায় বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসড়কের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারের পাঁচ আরোহীর নিহত হওয়ার পর নতুন করে সামনে এসেছে বহদ্দারহাট ট্র্যাজেডি। দেশে প্রথমবার উড়ালসড়কের গার্ডার পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল ১০ বছর আগে, চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটে। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বরের সেই দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছিল ১৩ প্রাণ। বহু মানুষ হয়েছিলেন পঙ্গু।

সেদিনের নিহতদের স্বজনেরা বলছেন, জবাবদিহিতা এবং দায়বদ্ধতার অভাবেই বারবার এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। বহদ্দারহাটের ঘটনায় জড়িতদের যদি বিচারের মুখোমুখি করা হতো, তাহলে অন্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সতর্ক হতো।

ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের একজন ছিলেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ। ঘটনার এক দশকেও সাজ্জাদের বাবা-মা পাননি ছেলে হারানোর বিচার। এখন তাই বিচারের আশা ছেড়েই দিয়েছেন তাঁরা।

সাজ্জাদের বাবা আবদুস সোবহান বলেন, ‘বিচার চেয়ে কি হবে, ছেলেকে তো আর ফিরে পাব না।’

সাজ্জাদের ছোট ভাই সাকিব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তখন আমার ভাই ছিলেন পরিবারের আয়ের অন্যতম উৎস। দিনভর কাঠের আসবাবপত্রের নকশার কাজ করে আমাদের মুখে দু বেলা খাবার তুলে দিতেন তিনি। সেই ভাইটাকেই নির্মমভাবে হারাতে হয়। পুরো শরীরটাও পাইনি ভাইয়ের। এটাতো হত্যাই। সেদিন আমার ভাইসহ যাদের হত্যা করা হয়েছিল তার বিচার হলে অন্য কাউকে গার্ডারের নিচে পড়ে মরতে হতো না। কেননা বিচার হলে সবাই সতর্ক হয়ে যেত। কাজ করার সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিত, অবহেলা করত না। আমার ভাইকেতো আর পাব না। বিচারও হয়তো হবে না। তবে সরকারের কাছে নিবেদন থাকবে–উত্তরার ঘটনায় দায়ীদের যেন কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।’

উল্লেখ্য, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়ে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনার দুদিন পর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ওই সময় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী, নির্মাণকাজে জড়িত মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমসের (যৌথ মালিকানা) কর্মকর্তাসহ মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম। শুধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দায়ী করায় তখন অভিযোগপত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এই মামলায় ২৭ জনকে সাক্ষী করা হয়। বর্তমানে মামলাটি চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে বিচারাধীন আছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অনুপম চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে ২০২০ সালে মামলাটি চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এসেছে। এখন পর্যন্ত আদালতে ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। গত রোববারও আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। তবে সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। 

লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকেই অপবাদ, হুমকির পর আত্মহত্যা

এবার মিয়ানমারে পাচার হলো পিকআপ-জিপ

প্রাথমিক শিক্ষাকে উন্নত করা গেলে সামাজিক বৈষম্য দূর হবে: উপদেষ্টা

সীতাকুণ্ডে সৈকতে বন্ধুকে বেঁধে রেখে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

কুমিল্লায় হত্যা মামলায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার

হাসপাতাল থেকে অন্যের বাচ্চা নিয়ে উধাও নারী

কাজের সন্ধানে এসে অপহরণ চক্রের আস্তানায় যুবক, উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

চট্টগ্রামে টেম্পোচালকদের সড়ক অবরোধ, ভোগান্তিতে মানুষ

নোয়াখালীতে ৯টি চোরাই মোবাইলসহ কক্সবাজারের তিন যুবক আটক

পাঁচ মাসের ব্যবধানে লারমা স্কয়ারে ফের আগুন