প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিতটা উতরে গিয়েছিলেন অন্যজনের সহায়তায়। ধরা খেলেন মৌখিক পরীক্ষায় এসে। আজ সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়েন মো. মুজিবুর রহমান নামের ওই চাকরিপ্রার্থী।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মৌখিক পরীক্ষার সময় সন্দেহ হলে হাতের লেখা পরীক্ষা করে দেখেন পরীক্ষকেরা। এ সময় লেখার মিল পাওয়া যায়নি। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু রায়হান দোলন ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মিল্টন বিশ্বাস জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রক্সি দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় পাস করার কথা স্বীকার করেন মুজিবুর। তাঁর বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাটে।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষার্থী জানান, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মানিক নামের এক বন্ধুর মাধ্যমে তিনি আরেকজনের সঙ্গে ৫ লাখ টাকার চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী গত ২২ এপ্রিল তাঁর হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন সেই বন্ধু।
ওই শিক্ষার্থীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা করবে।’