লক্ষ্মীপুরে বাস থেকে যুবতীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মূল আসামি হেলপার এমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। আজ রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক।
গ্রেপ্তারকৃত এমরান হোসেন রামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কাজিরখিল এলাকার মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
ওসি বলেন, এমরান হোসেনকে চট্টগ্রামের সিএমপি ডাবল মুরিং এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আদালতে তোলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর আগে এ মামলায় বাসচালক আজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানান, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী থেকে শ্বশুরবাড়ি সিলেটে যাওয়ার জন্য বের হন ওই নারী। বেগমগঞ্জগামী বাসে না উঠে ভুলবশত লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জগামী জননী পরিবহনের একটি বাসে উঠে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে রামগঞ্জ বাসটার্মিনাল এলাকায় বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ওই বাসচালক আজাদ উদ্দিন ও হেলপার এমরান হোসেনকে জানালে তাঁরা যুবতীকে নোয়াখালীগামী অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়ার কথা বলে নীলাচল পরিবহন নামে একটি খালি বাসে তুলে নেন। পরে খালি বাসে জোরপূর্বক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বাসচালক, হেলপার ও অজ্ঞাত এক যুবক।
এ যুবতী ডাকচিৎকারে বাজারের নৈশ প্রহরী শাহাজাহান মিয়াসহ স্থানীয়রা ছুটে এসে বাসচালক আজাদ উদ্দিনকে আটক করেন। ঘটনার পরপরই মূল অভিযুক্ত এমরান হোসেন ও তাঁর সহযোগী পালিয়ে যান। বাসচালক আজাদ উদ্দিনকে আটকের সময় ধস্তাধস্তিতে শাহাজাহান মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নৈশ প্রহরীকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর পুলিশ ওই যুবতীকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ থানা-হেফাজতে নেয় এবং বাসচালক আজাদ উদ্দিনকে আটক করে। পরদিন সকালে ওই নারী বাদী হয়ে বাসচালক, হেলপার ও অজ্ঞাত এক যুবককে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ আজাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।