ফেনীতে এক তরুণীকে (২৬) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গতকাল বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের এবিএম ব্রিক ফিল্ডে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার জামাল মিস্ত্রির ছেলে মো. সমির (২৭), আব্দুর মোনাফের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২), মোহাম্মদ জহিরের ছেলে মোহাম্মদ তারেক (১৯), সুধারাম উপজেলার আব্দুস সোবানের ছেলে মোহাম্মদ রমজান আলী (১৯) ও আলী হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ বাবু (১৯)। এ ঘটনায় পলাতক থাকা আসামিরা হলেন নোয়াখালী হাতিয়ার রুহুল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ মেহেরাজ (৩২) ও মোহাম্মদ রিদন (৩০)। তবে রিদনের পরিচয় পায়নি পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার তরুণী একজন ভিক্ষুক। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হবিগঞ্জে। বর্তমানে তিনি কুমিল্লার ধর্মপুর এলাকায় থাকেন। তাঁর স্বামী মারা গেছেন। সন্তানদের ভরণ-পোষণের জন্য তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করেন। ওই দিন দুপুরে ভিক্ষার জন্য ফেনীর ছনুয়া এবিএম ব্রিকফিল্ডে গেলে সেখানে কয়েকজন শ্রমিক তাঁকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় রাতেই মামলা দায়ের করেন তিনি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হবে এবং রিমান্ড চাইবে পুলিশ। এ ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।