বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া ও নগদ ১০ হাজার টাকার জন্য বন্ধু সালাউদ্দিনের হাতে খুন হন ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি সালাউদ্দিন ভূঁইয়া (৩৯) ও তাঁর সহযোগী আবদুর রহমানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে চাঁদপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত শনিবার তাঁর নিজ বসতঘর থেকে গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ।
পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকাণ্ডের সহযোগী আব্দুর রহমানকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর স্বীকারোক্তিতে প্রধান আসামি সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ফরিদ ও সালাউদ্দিন বন্ধু ছিলেন। সালাউদ্দিন দ্বিতীয় বিয়ে করায় তিনি মাঝে মাঝেই তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে চট্টগ্রামে থাকতেন। এই সুযোগে ফরিদের সঙ্গে তাঁর প্রথম স্ত্রীর সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ হয় সালাউদ্দিনের। তা ছাড়া, ঘটনার দিন রাতে ফরিদের মানিব্যাগে তিনি নগদ ১০ হাজার টাকা দেখতে পান। এই টাকার লোভে ও স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সালাউদ্দিন তাঁর সহযোগীকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। এরপর বঁটি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে ফরিদকে হত্যা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফরিদগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ, ডিআইও-১ মনিরুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ হোসেন।