নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এক মাস আগে প্রেমিকের কথায় ঘর ছেড়েছিলেন তরুণী। কিছুদিন পরেই প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে রূপ নেয়। যাঁর ওপর অন্ধ আস্থায় ভর করে ঘর ছেড়েছিলেন, সেই মানুষটির প্রতারণার শিকার হয়ে অথই সাগরে পড়েন তিনি। একা ফেলে রেখে পালিয়ে যান সেই ব্যক্তি। এরপর এক রিকশাচালককে রাতে থাকার জন্য কম টাকার মধ্যে একটি হোটেলে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু সেই রিকশাচালক তাঁকে বিক্রি করে দেন একটি যৌনপল্লিতে।
মাসখানেক ধরে সেখানেই ছিলেন ওই তরুণী। দেহব্যবসায় বাধ্য করা হয় তাঁকে। অসম্মতি জানালেই তাঁকে মারধর করা হতো। গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে অভিযোগ জানান ওই তরুণী।
ফোন কল করে তিনি জানান, ফরিদপুরের রথখোলা এলাকায় একটি যৌনপল্লিতে আটক আছেন। একজন খদ্দেরের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কল করেছেন। সেখানে থেকে তাঁকে উদ্ধারের জন্য আকুতি জানান তরুণী।
ফোন কল পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা সেন্টারের কনস্টেবল মামুনুর রশিদ তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় বিষয়টি জানিয়ে দেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
জরুরি সেবার সংশ্লিষ্টদের তৎপরতায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ দলের নেতৃত্বে থাকা এসআই খায়রুল ৯৯৯-সেবা সেন্টারে জানান, তাঁরা ১৯ বছর বয়সী সেই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক আবুল খায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনজনের নামে ও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে মানব পাচারের মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য সদরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে।’