Ajker Patrika
হোম > অপরাধ > ঢাকা

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে হত্যা, ২ ঘাতক গ্রেপ্তার 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাক

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে হত্যা, ২ ঘাতক গ্রেপ্তার 

নরসিংদীর রায়পুরায় ধানখেত থেকে রুনা আক্তার নামে এক গৃহবধূর চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল শনিবার বিকেলে নেত্রকোনার কলমাকান্ত ও নরসিংদীর রায়পুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। সিআইডি জানিয়েছে, স্বামীর অবর্তমানে দ্বিতীয় বিয়েতে রাজি না হওয়ায় হত্যার শিকার হন রুনা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ওই এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাক। আজ রোববার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার (এএসপি) মুক্তা ধর এসব তথ্য জানান।

মুক্তা ধর বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর নরসিংদীর রায়পুরার চরমরজালের একটি ধানখেত থেকে রুনা আক্তার নামে এক গৃহবধূর চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর স্বামী আবুল কালাম মিয়া সৌদিপ্রবাসী। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। কালাম মিয়া সৌদি আরবে যাওয়ার সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ঋণ নেন। কিন্তু যাওয়ার পর পরিবারের কোনো খরচ না দিয়ে উল্টো রুনা আক্তারকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে ধারদেনা পরিশোধ করার জন্য চাপ দেন কালাম মিয়া। পরিবারের সদস্যরাও তাঁর ওপর টাকা পরিশোধের জন্য নির্যাতন চালালে রুনা আক্তার থানায় নারী নির্যাতনের মামলা করেন। পরিবার থেকে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার চাপ দেওয়া হলে তিনি (রুনা) তাঁর মামার বাসায় চলে যান। সেখানে দিনমজুরের কাজ করে সন্তানের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করেন তিনি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মুক্তা ধর বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রুনা বাবার বাড়ি থেকে মামার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ পান। ১৩ ডিসেম্বর সকালে স্থানীয় লোকজন গ্রামের ধানখেতে রুনার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে।

মুক্তা ধর বলেন, এ ঘটনায় পিতা মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করে জানতে পারে, একই এলাকার রাজ্জাক স্থানীয় খোরশেদ আলমের সঙ্গে রুনা আক্তার বিয়ের ব্যবস্থা ও বিভিন্ন খরচের কথা বলে খোরশেদ আলমের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেন। বিয়েতে রুনা আক্তার সম্মতি না দেওয়ায় খোরশেদ আলম রাজ্জাককে তাঁর টাকা ফেরত দিতে বলেন।

মুক্তা ধর আরও বলেন, ১২ ডিসেম্বর রুনা আক্তার বের হলে প্রথমে রাজ্জাক ও খোরশেদ আলমের সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় তিনজনের মধ্যেে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে রুনা আক্তারের গলার ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। এরপর ঘটনা ভিন্ন খাতে পরিবর্তন করার জন্য ভিক্টিমের একটি চোখ বাঁশ দিয়ে থেঁতলে দেন তাঁরা। এ ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নারায়ণগঞ্জে চুরির অভিযোগ তুলে যুবককে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন

সুব্রত বৈদ্য হত্যা মামলা: সব আসামি খালাস, বাদীপক্ষের ক্ষোভ

স্ট্যান্ড ফর এনআইডি: মানববন্ধন কর্মসূচিতে ইসির কর্মীরা

যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও মিছিল নিষিদ্ধ: ডিএমপি

ধানমন্ডিতে আটক মহিউদ্দিনকে মধ্যরাতে ছেড়ে দিল পুলিশ

নড়াইলে প্রবাসফেরত এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

ভবনের ছাদে ফোনে কথা বলছিলেন, পড়ে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকল্প শেষ না হতেই পাইপ বদল, খরচ ১৫০ কোটি

মা-ছেলে নিখোঁজ, অপরিচিত ব্যক্তি ফোনে বললেন, ‘তাঁরা ভালো আছেন’

নারায়ণগঞ্জে আটক বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা মুচলেকায় মুক্তি