ঢাকা: পুরান ঢাকার বংশালে রিকশাচালককে মারধর করার অভিযোগে গ্রেপ্তার সেই সুলতান আহমেদের জামিন আবেদন ফের নাকচ করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে জামিনের আবেদন করলে তিনি তা নাকচ করে দেন।
গত ৫ মে থেকে সুলতান কারাগারে আছেন। এর আগে কয়েক দফা জামিন আবেদন করেছেন তিনি।
গত ৪ মে একজন সংবাদকর্মী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের ফেসবুকে পেজে একটি ভিডিও লিংক পাঠান। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই দিন দুপুর দেড়টার দিকে বংশালে এক ব্যক্তি এক রিকশাচালককে চড়-থাপ্পড় মারছেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। একপর্যায়ে রিকশাচালক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং জ্ঞান হারান। পরে লোকজন এগিয়ে গিয়ে ওই রিকশাওয়ালাকে উদ্ধার করে।
এই ভিডিওটি দেখে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বংশাল থানাকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। বংশাল থানা ভিডিওতে রিকশাচালককে মারধরকারী বংশালের স্থানীয় সুলতান আহমেদকে শনাক্ত করে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় সুলতানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গত ১৯ মে রিকশাচালক আবদুল হামিদ বাদী হয়ে বংশাল থানায় সুলতানের বিরুদ্ধে মারধর ও চুরির অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় ২০ মে সুলতানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রিকশাচালক আবদুল হামিদের বাড়ি নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার কনিকাপাড়া গ্রামে। তিনি ঈদের আগেই বাড়ি গিয়েছিলেন বলে মামলা করেননি। মামলার এজাহারে বলেছেন, গত ৪ মে তিনি বংশাল থানার কাজী আলাউদ্দিন রোডের চৌরাস্তায় রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই সময় সুলতান এসে অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ করেন। রাস্তা থেকে সরে যেতে বলেন। রিকশা সরাতে দেরি করায় তাকে মারধর করেন, কিল ঘুষি ও চড়–থাপ্পড় মারেন। সুলতানের মারধরে তিনি মাটিতে পড়েন। এ সময় তার পকেট থাকা ৪৫০ টাকাও সুলতান নিয়ে যান।
রিকশাচালক এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, এই ঘটনার পর তিনি বাসায় চলে যান। পরে শোনেন ফেসবুকে ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছে। তবে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় তিনি মামলা করতে দেরি করেছেন।