হোম > অপরাধ > ঢাকা

অ্যাসিড নয়, মুখে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছি

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

অ্যাসিড নয়, পেট্রল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে সাবেক স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন পোশাক কারখানার শ্রমিক সাথী আক্তারের সাবেক স্বামী নাঈম। আজ বুধবার সকালে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি দেন বলে জানিয়েছে সাটুরিয়া থানা-পুলিশ। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসামি নাঈমকে।

জানা যায়, শুক্রবার মধ্যরাতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ফেরাজীপাড়ার নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরের ভাঙা জানালা দিয়ে সাথী আক্তারের শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন প্রাক্তন স্বামী নাঈম। গুরুতর আহতাবস্থায় দ্রুত সাথীকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নাঈম পেট্রল ঢেলে আগুনে পোড়ানোর কথা জানান।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাঈমের সঙ্গে বিয়ে হয় সাথীর। তবে বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে অত্যাচার করতেন নাঈম। মেয়ের স্বামী নেশাগ্রস্ত হওয়ায় ছয় মাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকেই নাঈম পুনরায় সংসার করার কথা জানাতে থাকে। শুধু তাই নয়, সাথী তার সঙ্গে পুনরায় সংসার না করলে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি। এরই জের ধরে নাঈম গত শুক্রবার মধ্যরাতে ঘরের ভাঙা জানালা দিয়ে সাথীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে দেয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী সাথীর পরিবারের।

সাথী আক্তারের মা জুলেখা বেগম বলেন, নাঈমের সঙ্গে আমার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ছয় মাস আগে। এরপর থেকেই রাস্তাঘাটে মেয়েকে বিরক্ত করতে শুরু করে তার সঙ্গে সংসার না করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় নাঈম। শুক্রবার মধ্যরাতে ঘরের ভাঙা জানালা দিয়ে সাথীর মুখে অ্যাসিড মেরে হাত-মুখ ঝলসে দেয় নাঈম। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

সাথীর বড় ভাই সোহেল বলেন, বিবাহ-বিচ্ছেদের পর তিন মাস ধরে তাঁর বোন ধামরাই উপজেলার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। অফিসে যাওয়া আসার সময় রাস্তা-ঘাটে বিভিন্ন জায়গায় তাকে বিরক্ত করে পুনরায় তাকে বিয়ে করে সংসার করার জন্য চাপ দিতে থাকে নাঈম। তার এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার মধ্যরাতে নাঈম অ্যাসিড দিয়ে সাথীর হাত ও মুখ ঝলসে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘আসামি নাঈমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সে এখন জেল হাজতে রয়েছে। অ্যাসিড নয়, পেট্রল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে সাথীকে হত্যাচেষ্টার কথা স্বীকার করে আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’

হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে, রাখা হবে হিমঘরে

হাদির জানাজা আগামীকাল বেলা আড়াইটায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়

‎হাদি হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘ব্যবহার করে’ উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির

সিঙ্গাপুর থেকে ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে ঢাকার পথে বিমান বিজি ৫৮৫

ওসমান হাদির মরদেহ পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টায়: ইনকিলাব মঞ্চ

জুমার নামাজের পর আরও উত্তাল শাহবাগ, বড় হচ্ছে জমায়েত