মানবপাচার আইনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২৬ ডিসেম্বর দাখিল করার দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদ এ তারিখ ধার্য করেন।
আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসআই মো. কামরুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
২০২০ সালের ২ জুলাই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মানবপাচারকারী আজম খানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলা করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মৃণাল কান্তি শাহ। মামলার আসামিরা হলেন—আলামিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ড, স্বপন হোসেন, আজম খান, নাজিম, এরশাদ ও নির্মল দাস, আলমগীর, আমান ও শুভ। মামলায় অজ্ঞাতনামা মানব পাচারকারীদের কথাও উল্লেখ করা হয়।
দুবাই পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতা আজম খান ও তাঁর চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নৃত্যশিল্পী ইভানকে ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর নিকেতন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ইভানকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা দুবাইয়ের হোটেল ও ড্যান্স বারে মেয়েদের যৌনকর্মে বাধ্য করতেন। তাঁদের প্রতিনিধিরা দেশের বিভিন্ন নাচের ক্লাব বা সংগঠন থেকে কাজ দেওয়ার নামে মেয়েদের দুবাই পাঠাতেন।
সম্প্রতি গ্রেপ্তার তিনজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে মানবপাচারের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাঁদের স্বীকারোক্তিতেই ইভানের নাম উঠে আসে মানব পাচারকারী হিসেবে। ইভান জামিনে আছেন।
‘ধ্যাততেরিকি’ সিনেমায় নৃত্য পরিচালনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। তিনি ড্যান্স ট্রুপ নামে একটি ড্যান্স কোম্পানি পরিচালনা করেন। বিভিন্ন করপোরেট অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে তাঁর দল।