নরসিংদীর রায়পুরায় লাভলী আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া স্বামী পুলিশের কাছে হত্যার কথা শিকার করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন।
লাভলী আক্তার রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের আমান উল্লাহর মেয়ে। অন্যদিকে অভিযুক্ত স্বামী সুজন মিয়া (৩৫) একই উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, পারিবারিকভাবে ১৩ বছর আগে লাভলী আক্তারের (৩০) সঙ্গে সুজন মিয়ার (৩৫) বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুটি মেয়েসন্তান রয়েছে। বিয়ের ছয় বছর পর সুজন মিয়া আর্থিক সচ্ছলতার উদ্দেশ্যে বিদেশে যান। সেখানে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এ কারণে দুই মাস আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
দেশে ফিরে আসার পর জানতে পারেন স্ত্রী লাভলী অন্য এক পুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। এতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। পারিবারিকভাবে তাঁদের একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও তা হয়ে ওঠেনি।
গত শনিবার (৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে তাঁদের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার একপর্যায়ে সুজন মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রী লাভলীকে পেটে আঘাত করে পরিবারসহ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (৭ নভেম্বর) নিহতের মা মালেকা বেগম বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমাবার বিকেলে ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার আটরশি দরবার শরিফের পাশ থেকে আসামি সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী জেলা পুলিশের একটি দল। পরে তাঁকে জিঞ্জাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় সুজন মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।