শ্রীনগরে প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে ঢাকা থেকে কিছু লোক গিয়ে দুই রাউন্ড গুলি করেছে। তিন সাংবাদিক গুলি করার ছবি তুললে তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে গুলিবর্ষণের ছবি মুছে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।’ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কোলাপাড়া এলাকায় এই ফাঁকা গুলির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কোলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকার ব্যবসায়ী ইস্রারাফিল অভিযোগ করে বলেন, তাঁর কেনা জমিতে গত শনিবার প্রাচীর নির্মাণ শুরু করলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আজাহার ঢাকা থেকে ৫ /৬টা মোটরসাইকেলে ১০ / ১৫ জন লোক এসে কাজ বন্ধ করার জন্য হুমকি দেয়। বাধা উপেক্ষা করে রাজমিস্ত্রিরা কাজ করে। রোববার সকালে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আজহার অর্ধশত মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকায় ঢুকে লোকজন দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি ভেঙে দেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আজহারের লোকজন এলাকায় দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি অধীর রাজবংশী, দৈনিক নয়াদিগন্তের আব্দুর রকিব ও দৈনিক আজকের পত্রিকার হামিদুল ইসলাম লিংকন মোবাইল ফোনে গুলি করার ছবি তোলেন। তাৎক্ষণিকভাবে আজহারের লোকজন তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে গুলি করার ছবি মুছে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আজাহার বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আর গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঢাকার কিছু ছেলে গিয়েছিল, তারা সাংবাদিকদের চিনতে পারেনি। বিষয়টি জেনে সাংবাদিকদের সঙ্গে সরি বলিয়ে মিলিয়ে দিয়েছি।’
শ্রীনগর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুলি করার ঘটনা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) তানভীর হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অফিসার ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলব। কেউ অভিযোগ না করলেও খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’