সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সংঘাত বাড়াতে কিছু মানুষ কাজ করবে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। সেই সঙ্গে থানায় কোনো নিখোঁজের জিডি হলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি সদর দপ্তরে সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। পাশাপাশি জঙ্গিবাদ হঠাৎ যাতে মাথাচাড়া দিয়ে কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন কমিশনার।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, চুরি-ছিনতাই মামলা, মামলা তদন্ত, চোরাই গাড়ি উদ্ধার, মাদক উদ্ধার ও মুলতবি মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আরও গুরুত্ব দিতে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। এ ছাড়া মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জোর দেন।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভার শুরুতেই গত আগস্ট মাসের খাতওয়ারি অপরাধচিত্র বা অপরাধ বিবরণী পর্যালোচনা করা হয়। সভায় ঢাকা মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম। এ ছাড়া অন্য ১৩টি বিভাগ ও শাখার বিভিন্ন পদ মর্যাদার ১২৮ জন অফিসার এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সঞ্চালনায় অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) একেএম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।