পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে ফরিদপুরে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাতে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকা থেকে ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন–জেলার নগরকান্দা উপজেলার সুতারকান্দা এলাকার মিরান মোল্লা (৫৫), একই উপজেলার পুড়াপাড়া এলাকার আক্কাছ মোল্যা (৪৫) ও পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার পুরুরা গ্রামের বিল্লাল মাতুব্বর (৬২)।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি মোর্শেদ আলম বলেন, সাধনা বিশ্বাস নামের এক নারী তাঁর মেয়ে দীপা রাজবংশী কনস্টেবল পদে চাকরি প্রত্যাশী। প্রতারকচক্র পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আট লাখ টাকা চুক্তি সম্পাদন করে চাকরি দেওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়েছে তাঁর কাছে থেকে। কিন্তু তাঁর মেয়ের পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয়নি। বিষয়টি পুলিশ জানার পর বাদীকে থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য পরামর্শ দেন।
এসপি মোর্শেদ আলম বলেন, এ ঘটনায় বাদী কোতোয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করলে ডিবি পুলিশ ফরিদপুর শহরে অভিযান চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে আবেদনকারী প্রার্থীরা যাতে কোনো দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার না হন সে জন্য ফরিদপুর জেলা পুলিশ, জেলা বিশেষ শাখা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিমকে নজরদারি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, একটি প্রতারকচক্র কনস্টেবল পদে নিয়োগের অভিনব কায়দায় প্রার্থীর অভিভাবকদের প্রতারিত করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন–অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হান্নান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।