ঢাকার দোহার উপজেলায় স্ত্রীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে স্বামী পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলার উত্তর জয়পাড়া চৌধুরীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আহত গৃহবধূ চন্দ্রবান (৪৩) নবাবগঞ্জ উপজেলার আলালপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং দোহার উপজেলার উত্তর জয়পাড়া চৌধুরীপাড়া এলাকার আলী হোসেনের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চন্দ্রবান আজকের পত্রিকাকে জানান, আলী হোসেন ও তাঁর কোনো সন্তান না হওয়ায় এক ছেলে (৭) ও এক মেয়ে (১৪) দত্তক নিয়েছিলেন তাঁরা। ৮-৯ মাস আগে তাঁর স্বামী মেয়েকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে মেয়েকে উপজেলার একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। এরপর থেকে মেয়ে ওখানেই থাকত। গত দুদিন আগে তাঁর স্বামী মেয়েকে বাসায় আনতে বলেন।
চন্দ্রবান জানান, তাঁর ধারণা ছিল আলী হোসেনের আচরণ পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফের একই আচরণ দেখে আলী হোসেনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তিনি মেয়ের রুমে ঢুকে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে ভোর পাঁচটার দিকে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে রামদা দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন আলী হোসেন।
চন্দ্রবান জানান, তাঁর আর্তচিৎকারে এলাকার সবাই এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু এর মধ্যেই আলী হোসেন পালিয়ে যায়।
এ বিষয় দোহার উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক মলিহা পারভিন বলেন, ‘সকালে চন্দ্রবানকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে আমরা দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তার ক্ষতস্থানে ৭০-৮০টি সেলাই দিতে হয়েছে। তবে চন্দ্রবান এখন সুস্থ আছে। আমাদের হাসপাতালে চিৎসাধীন আছে।’
এ বিষয়ে দোহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাচান মাহমুদ জানান, ‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ভিকটিম চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত আলী হোসেনকে এখনো পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলমান আছে। তাঁকে খোঁজ করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’