শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কাজিকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামাল বেপারী (৪৫) কাজিকান্দি এলাকার মৃত হোসেন বেপারীর ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে স্থানীয় একটি সাঁকোকে কেন্দ্র করে কামাল বেপারীর স্ত্রী মাসুদা বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী আলী হোসেন সরদারের চাচাতো ভাই আয়নাল সরদারের স্ত্রী শিরিন বেগমের কথা–কাটাকাটি হয়।
ওই সাঁকো পার হতে গেলে শিরিন বেগমের উঠানের সামনে দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু পূর্ব বিরোধ থাকায় শিরিন বেগম কামাল বেপারীর স্ত্রীকে সেখান দিয়ে যেতে মানা করেন। তাঁদের কথা-কাটাকাটির বিষয়টি জানতে পেরে আলী হোসেন সরদার ও আয়নাল সরদারের লোকজন ক্ষিপ্ত হন।
পরে দুপুরে স্থানীয় আন্ধারমানিক বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় আলী হোসেন, আয়নাল সরদারসহ ১০–১২ জন মিলে কামাল বেপারীকে কাজিকান্দি এলাকার একটি বাড়ির ভেতরে নিয়ে চাপাতি, হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে এলাকার বেসরকারি হাসপাতাল দেওয়ান মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বিকেলে ঢামেকে কামাল বেপারীর মৃত্যু হয়।
নিহত কামাল বেপারীর বড় ভাই সুলতান বেপারী (৫২) বলেন, ‘আলী হোসেন, আয়নাল গংদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। আজ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আমার ভাই কামাল বেপারীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আলী হোসেন সরদার ও আয়নাল সরদারের লোকজন আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, কাজিকান্দি এলাকায় এক কৃষককে কুপিয়ে জখমের পর ঢামেকে তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।