নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর তেজগাঁও থানার ফার্মগেট এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদারের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ। স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে তাঁর গ্রামের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার করুয়া গ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মনিরুজ্জামানের ফুপাতো ভাই জাকিরুল আলম মরদেহ বুঝে নেন।
এর আগে আজ ভোর সোয়া ৪টার দিকে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন মনিরুজ্জামান। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
জানা গেছে, মনিরুজ্জামানের বাঁ হাত, কাঁধ ও পায়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ নিয়ে শেরপুরে রওনা দেওয়ার আগে জাকিরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মরদেহ আমরা বুঝে পেয়েছি। মরদেহ নিয়ে এখন মনিরুজ্জামানের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছি। গ্রামের বাড়িতে মনিরুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন হবে। আজ সকালে বাড়ি থেকে এসে ডিউটিতে যোগ দেন মনিরুজ্জামান।’
জাকিরুল বলেন, ‘গ্রামের বাড়িতে মনিরুজ্জামানের স্ত্রী, দুই ছেলেসন্তান ও মা-বাবা আছেন। তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাশেম তালুকদার। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে মনিরুজ্জামান দ্বিতীয়। মনিরুজ্জামান ২০০২ সালে সেপ্টেম্বরে পুলিশে যোগ দেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডিএমপির তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।’
উল্লেখ, আজ সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে ছুরিকাঘাতে নিহত হন পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদার। তবে কেবা কারা তাঁকে ছুরিকাঘাত করেছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন তিনি।
এ বিষয় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, ‘পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনা শুনেছি। তাঁকে কী উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তবে ধারণা করছি, তিনি ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন।’
জানা গেছে, ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান ঈদের ছুটি শেষে সকালে ঢাকায় ফেরেন। ট্রেনে করে ঢাকায় এসে তেজগাঁও রেলস্টেশনে নেমে হেঁটে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। পথে ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে ছুরিকাহত হন।