নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের অন্যতম ঋণখেলাপি ও মানি লন্ডারিং কাণ্ডে অভিযুক্ত পিপলস্ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী খবির উদ্দিনের দুই মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বুধবার ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে খবির উদ্দিনের মেয়ে শারমিন আহমেদ (৪২) ও তানিয়া আহমেদকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়।
দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা তাঁদের বাবা পিপলস্ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের সাবেক পরিচালক খবির উদ্দিনের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করেন। প্রায় দেড় যুগ ধরে কানাডায় অবস্থান করে শারমিন ৩১ কোটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা ঋণ আত্মসাৎ করেছেন। তাঁরা গত ২৮ জুলাই দেশে আসেন। বুধবার (২৪ আগস্ট) ভোরে গোপনে কানাডার উদ্দেশে দেশত্যাগের কথা ছিল। গ্রেপ্তারের আগমুহূর্তে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মালামাল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃত দুই নারীর ঢাকায় আসার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কানাডা থেকে পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য দেশে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু দেশে এলেও তাঁরা আত্মগোপনে ছিলেন।
খবির উদ্দিনের সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে খন্দকার মঈন জানান, ‘পি কে হালদারের সহযোগী খবির উদ্দিন বর্তমানে অসুস্থ। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
আমানতকারীদের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘এখানে দুটি বিষয় রয়েছে। প্রথমত প্রতিষ্ঠানের প্রধান পি কে হালদার নিজে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ আদালত গঠন করে দিয়েছেন। আমানতকারীরা যেন অর্থ ফেরত পান, সে জন্য বিভিন্ন সংস্থা ও পরিচালনা পর্ষদ কাজ করছে। যাঁরা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনার পর তাঁরা অর্থ ফেরত দিলে আমানতকারীরা অর্থ পাবেন।’
এ ছাড়া খবির উদ্দিনের দুই মেয়েকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।