টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদকারী শিক্ষক নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছেন র্যাব-১২ ও সিপিসি-৩-এর সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার পুনর্বাসন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন ওই উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পুনর্বাসন এলাকার আবদুল আলিমের ছেলে মো. সাগর ও মো. ফজলুর রহমানের ছেলে স্বপন।
জানা যায়, গত রোববার দুপুরে মাদ্রাসার মেয়েদের কমনরুমের কাছে টয়লেটের ওপর দিয়ে উঁকি মারছিলেন তাঁরা। ঘটনাটি ওই মাদ্রাসার শিক্ষকেরা টের পেলে সাগর পালিয়ে যান এবং জাহিদকে ধরে অফিসকক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাঁর কৃতকর্মের জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। ঘটনার পরদিন সোমবার দুপুরে ওই শিক্ষক নামাজ পড়তে যান। পথে ১ ও ২ নম্বর পুনর্বাসনের মাঝামাঝি কমিউনিটি ক্লিনিকের কাছে পৌঁছালে জাহিদ, সাগর, শাহাদত, বাছেদ, স্বপনসহ ৮-১০ জন মিলে শিক্ষককে মারার জন্য পথ আটকায়। একপর্যায়ে তাঁকে রড ও ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করেন অভিযুক্তরা। পরে এলাকাবাসী ও অন্য শিক্ষকেরা তাঁকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা হলে টাঙ্গাইল র্যাবের কমান্ডার স্বপন ও সাগরকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বহুদিন ধরে তারা মাদ্রাসার ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছিল।
র্যাব-১২ ও সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি অভিযানকারী দল আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পুনর্বাসন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় সিরাজকান্দী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নজরুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে আটক করা হয়।
কোম্পানি কমান্ডার আরও বলেন, আটককৃতদের ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।