Ajker Patrika
হোম > অপরাধ > ঢাকা

গর্ভের সন্তানের পিতৃপরিচয় দাবি করায় নারীকে খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গর্ভের সন্তানের পিতৃপরিচয় দাবি করায় নারীকে খুন

রংপুরের পীরগঞ্জে আখখেতে গর্ভবতী নারীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ঘাতককে আটক করেছে র‍্যাব। আটক ব্যক্তির নাম মাসুদ মিয়া (৩৫)। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে গাজীপুর থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

র‍্যাব বলছে, বিবাহিত মাসুদ পোশাক কারখানায় কাজের সূত্রে নারী সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে যান। বিয়ের আশ্বাসে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। ওই নারী সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। গর্ভধারিণী সন্তানের পিতৃপরিচয় দাবিতে রংপুরের পীরগঞ্জে মাসুদের বাড়িতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন মাসুদ।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১৫ জুলাই রংপুরের পীরগঞ্জ থানার খালাশপীর এলাকায় আখখেত থেকে এক নারী (৩০) ও সদ্যোজাতের লাশ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই ঘটনায় পীরগঞ্জ থানার পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ও লাশ গুমের মামলা করে। হত্যাকাণ্ডটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তৎপর হয় র‍্যাব। 

খন্দকার আল মঈন বলেন, গত সোমবার রাতে গাজীপুরের গাছা থানার তারগাছ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক মাসুদকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকারোক্তিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ১০ বছর ধরে আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরি করেছেন মাসুদ। ২০২২ সালের ফ্রেরুয়ারি মাসে একই কারখানায় যোগ দেন ওই নারী। সহকর্মী হিসেবে তাঁদের পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

মাসুদের দেওয়া তথ্য মতে, ওই নারী তালাকপ্রাপ্তা ছিলেন। তাঁরা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে আশুলিয়ায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। এর মধ্যে তিনি অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েন। তখন বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কলহ লেগে থাকত। বাড়িতে সমস্যার কথা জানিয়ে ওই নারীকে ঢাকায় রেখে কিছুদিনের জন্য গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে যান মাসুদ। মাসুদ বিবাহিত এটি জানতেন না ওই নারী। 

কমান্ডার মঈন বলেন, ১২ জুলাই ওই নারী মাসুদের সন্ধানে রংপুরে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন মাসুদ বিবাহিত ও তাঁর সন্তান রয়েছে। গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি এবং বিয়ের দাবি জানান তিনি। তখন মাসুদের প্রথম স্ত্রী ফরিদা বিয়ের বিরোধিতা করেন। একপর্যায়ে মাসুদ ওই নারীকে বিয়ে করে ঢাকায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন। ১৩ জুলাই মাসুদের খালা ওই নারীকে রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে গাড়িতে তুলে দেন। তবে মাসুদ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে গাড়ি থেকে নেমে তাঁকে ফেরত আসতে বলেন। 

মঈন বলেন, ওই নারী বাসস্ট্যান্ড থেকে মাসুদের সঙ্গেই তাঁর বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে খালাশপীর নামক স্থানে ওই নারীকে কৌশলে একটি বড় আখখেতের ভেতর নিয়ে যান। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ এবং গলায় ও পেটে পা দিয়ে আঘাত করেন মাসুদ। এতে ওই নারীর গর্ভপাত হয়। ঘটনাস্থলেই ওই নারী ও সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়। 

মা ও নবজাতককে হত্যার পর বাড়িতে যান মাসুদ। এরপর ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর খোঁজ নেন। তিনি বাড়ি গেছেন কি না জানতে চান। পরিবার জানায়, বগুড়ায় তাঁর বাড়িতে যাননি। অনুসন্ধানের জন্য তাঁরই পরিবারের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ধার নেন মাসুদ। সেই টাকা নিয়ে গাজীপুরে এসে আত্মগোপন করেন।

বিএনপিতে ফেরার আবেদন নৌকার চেয়ারম্যান সেন্টুর

রোজার শুরুতেই চকের ইফতারি কিনতে ভিড়

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্বেগ

সেনাসদস্যকে এক গাড়ি ধাক্কা দেয়, আরেক গাড়ি পিষে যায়

সালিসে ‘পক্ষপাতিত্ব’: মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৩ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ১৫

নারায়ণগঞ্জে পিস্তল-গুলিসহ ২ ভাই গ্রেপ্তার

বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি: এক সপ্তাহেও কোনো গ্রেপ্তার নেই

সৌদিগামী ছেলেকে বিদায় দিতে হোটেলে উঠেছিলেন মিরন, আগুন কেড়ে নিল প্রাণ

অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস

দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন সম্পাদক মাহমুদুর রহমান