বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর নামে দেশের বিভিন্ন এলাকার অন্তত দেড় হাজার যুবকের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার দুজন হলেন—কামরুল হাসান (৬৫) ও তাঁর ছেলে মো. ফাহাদ হাসান সিয়াম (২৭)।
গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।
ডিবি পুলিশের দাবি, তুরস্কের সেনাবাহিনীতে, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁরা দেড় হাজার যুবকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাঁরা ভুয়া এজেন্সি খুলে এসব প্রতারণা করতেন। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের সহিদুল নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে ২০ জনের ৩২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তাঁরা। এরপরই বিষয়টি নিয়ে মামলা হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের ভিজিটিং কার্ড, প্যাড সিল, দুটি কম্পিউটার, বিদেশে পাঠানোর জন্য ভুয়া নিয়োগপত্র ও ভিসা জব্দ করা হয়।
আজ রোববার ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কামরুল হাসানের বাড়ি শরীয়তপুরে। ১০ বছর মালয়েশিয়াতে ছিলেন। দেশে ফিরে ২০০১ সাল থেকে আল রিফাত ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি অফিসে চাকরি নেন। ২০২২ সালে মালিক মারা যাওয়ার পর কামরুল ওই প্রতিষ্ঠানের আরএল ও লাইসেন্স নিজের প্রতিষ্ঠানের দাবিতে ব্যবহার করে প্রতারণা করতেন। বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কথা বলে এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০ জনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
কামরুলের পাসপোর্টে স্থায়ী ঠিকানা শরীয়তপুর উল্লেখ থাকলেও এনআইডিতে স্থায়ী ঠিকানা চাঁদপুর। তিনি গত দুই বছরে প্রতারণালব্ধ টাকায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় ফ্ল্যাট, বাড়ি ও জমি কিনেছেন।