শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
ইরাকে কেয়ারটেকারের চাকরি করতেন গাজীপুরের আনিছুর রহমান। সেখানে গোপনে মোবাইল ফোনে মালিকের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন। দেশে এসে সেই ভিডিও ইরাকি মালিকের ফোনে পাঠিয়ে দুই লাখ ডলার চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে ওই ভিডিও ইউটিউবে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
এ ঘটনায় ইরাকি মালিকের ছেলে দাবান কাওয়া গারিব বাংলাদেশে এসে আনিছুরের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। এরপর আনিছুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ইরাকের কিরকুক নগরীর শরিজা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত মো. আনিছুর রহমান (৩২) উপজেলার প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নের প্রহ্লাদপুর গ্রামের মো. শহিদুল্লার ছেলে। তিনি বেশ কয়েক বছর ইরাকে ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, আনিছুর রহমান ইরাকে ওই মালিকের বাসায় কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। গোপনে মালিকের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে রাখেন ফোনে। পরে দেশে ফিরে ওই ভিডিও মালিকের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দুই লাখ ডলার চাঁদা দাবি করেন। এ ঘটনায় ইরাকি মালিকের ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত আনিছুরকে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আনিছুর রহমান ইরাকে কাওয়া নামে এক ইরাকি নাগরিকের বাসায় ২০২১ সাল থেকে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। গত ১৭ মে তিনি দেশে ফেরেন। এরপর ভুক্তভোগী ও তাঁর ছেলের মোবাইল ফোনে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও পাঠিয়ে টাকা দাবি করেন। প্রতিকার পেতে বাংলাদেশে এসে শ্রীপুর থানায় আনিছুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন সেই ইরাকি নাগরিকের ছেলে।
অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীপুর থানায় আনিছুরের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।