হোম > অপরাধ > ঢাকা

গুলশানে ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে মামলা 

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: রাজধানীর গুলশান-২ এর একটি ফ্ল্যাট থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আত্মহত্যা প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে গুলশান থানায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান জানান, গুলশান-১ এর ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নং, ফ্ল্যাট বি-৩–এ থাকতেন  মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামে ওই তরুণী। রাজধানীর একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। মোসারাত জাহানের বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। পরিবার কুমিল্লায় থাকে। ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।

মোসারাতের বড় বোন নুসরাত বলেন, রোববার সে আমাকে ফোন করে জানায় যে ঝামেলায় পড়েছে। এ কথা শুনে তিনি সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে গেলে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও মোসারাত দরজা খুলছিল না। দুপুর থেকে ফোনও বন্ধ ছিল তার। পরে লোকজন নিয়ে তালা কেটে ঘরে ঢুকে মোসারাতকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে তিনি বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানান। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

নুসরাত জাহানের স্বামী মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে আনভীর। আমরা এ বিষয়ে একটি মামলা করেছি।

গুলশানের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবাহান আনভীরের সাথে মোসারাতের দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর আগে তাকে বছরখানেক বনানীর একটি ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছিল। পরে আনভীরের পরিবারে বিষয়টি জানাজানি হলে কুমিল্লা চলে যান মোসারাত।

উপ-কমিশনার আরও বলেন, গত ১ মার্চে গুলশানের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেওয়া হয়। সেখানে মোসারাত একাই থাকতেন। মাঝে মাঝে আনভীরের যাতায়াত ছিল। গত ২৩ এপ্রিল সেখানে একটি ইফতার পার্টিও হয়। যেখানে আনভীরও ছিলেন। সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন মোসারাত। এ নিয়ে তাকে অনেক কথা শুনতে হয়। বকাঝকাও করা হয়। এরপর বোনকে ফোন করেন মোসারাত।

অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার বিষয়ে জানতে চাইলে সুদীপ কুমার বলেন, আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা জরুরি। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রয়োজনে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশের ওপর কোনো চাপ নেই বলেও জানান তিনি।

গতকাল সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল যায়। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তরুণীর ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করে।

ডিসি এ বিষয়ে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ চলছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত হবে। আজ সকালেই আদালতে মামলার কাগজ জমা দেওয়া হয়েছে।

হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে, রাখা হবে হিমঘরে

হাদির জানাজা আগামীকাল বেলা আড়াইটায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়

‎হাদি হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘ব্যবহার করে’ উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির

সিঙ্গাপুর থেকে ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে ঢাকার পথে বিমান বিজি ৫৮৫

ওসমান হাদির মরদেহ পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টায়: ইনকিলাব মঞ্চ

জুমার নামাজের পর আরও উত্তাল শাহবাগ, বড় হচ্ছে জমায়েত