ঢাকা: রাজধানীর গুলশান-২ এর একটি ফ্ল্যাট থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আত্মহত্যা প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে গুলশান থানায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
মোসারাতের বড় বোন নুসরাত বলেন, রোববার সে আমাকে ফোন করে জানায় যে ঝামেলায় পড়েছে। এ কথা শুনে তিনি সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে গেলে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও মোসারাত দরজা খুলছিল না। দুপুর থেকে ফোনও বন্ধ ছিল তার। পরে লোকজন নিয়ে তালা কেটে ঘরে ঢুকে মোসারাতকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে তিনি বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানান। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
নুসরাত জাহানের স্বামী মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে আনভীর। আমরা এ বিষয়ে একটি মামলা করেছি।
উপ-কমিশনার আরও বলেন, গত ১ মার্চে গুলশানের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেওয়া হয়। সেখানে মোসারাত একাই থাকতেন। মাঝে মাঝে আনভীরের যাতায়াত ছিল। গত ২৩ এপ্রিল সেখানে একটি ইফতার পার্টিও হয়। যেখানে আনভীরও ছিলেন। সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন মোসারাত। এ নিয়ে তাকে অনেক কথা শুনতে হয়। বকাঝকাও করা হয়। এরপর বোনকে ফোন করেন মোসারাত।
অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার বিষয়ে জানতে চাইলে সুদীপ কুমার বলেন, আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা জরুরি। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রয়োজনে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশের ওপর কোনো চাপ নেই বলেও জানান তিনি।
গতকাল সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল যায়। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তরুণীর ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করে।
ডিসি এ বিষয়ে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ চলছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত হবে। আজ সকালেই আদালতে মামলার কাগজ জমা দেওয়া হয়েছে।