ঢাকার দোহারের একটি এলাকায় আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে ওই এলাকার একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম (৪৫) নামে একজনকে আটক করেছে দোহার থানা-পুলিশ।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০-১২ দিন আগে বিকেলে বাড়িতে যাওয়ার পথে শিশুটিকে ডেকে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে যান শহিদুল। এরপর শিশুটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। প্রায় ৪০ মিনিট পর তাকে ছেড়ে দেন। যাওয়ার সময় ৫০ টাকা দিয়ে চকলেট খেতে বলেন শহিদুল এবং ঘটনার বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধ করেন। রক্তমাখা অবস্থায় মেয়েটি বাড়িতে এলে তার মা বিস্তারিত জানতে চান। এরপর ঘটনা শুনে বিষয়টি নিয়ে বিচার চাইতে গেলে শহিদুলের পরিবার তাঁদের হত্যার হুমকি দেয়।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শহিদুলকে বেদম মারধর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দোহার থানা-পুলিশ। পরে রাতেই একটি ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা।
গতকাল রাতে শহিদুলের বাড়িতে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হন স্থানীয় হেমায়েত হোসেন ও অভিযুক্ত শহিদুলের ভাই বাহাদুর।
ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ঠিকমতো তিনবেলা খেতে পারি না। আমার মেয়ের এমন ক্ষতি করার পরে বিচার চাইলে, তারা হত্যার ভয় দেখায়। আমি পুলিশের সহায়তায় এর সঠিক বিচার চাই।’
এ বিষয়ে দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ইসলামপুরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দোহার থানায় শিশুটির বাবা একটি মামলা করেন। প্রধান আসামি শহিদুলকে আমরা গ্রেপ্তার করে সরকারি হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে রেখেছি। শিগগিরই তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। শিশুটিকে মেডিকেল চেকআপের জন্য দ্রুতই ঢাকা পাঠানো হবে।’