টঙ্গিবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় টঙ্গিবাড়ী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আরিফুল ইসলাম হালদারসহ ৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামিরা মুন্সিগঞ্জ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আরিফুল ইসলাম হালদার, তাঁর ছোট ভাই কামারখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান হালদার খুকু, টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান কবির হালদার, নজরুল ইসলাম হালদার ওরফে নাজির হালদার, রাসেল হালদার, যুবরাজ হালদার, এইচ এম বাবর, সবুজ হালদার, আবু কাউছার সোহেল ওরফে আবু কাউছার ও আনিছ হালদার।
আসামিরা এর আগে উচ্চ আদালত থেকে দুটি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে আজ তাঁরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দীঘিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতা ও দীঘিড়পার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি সোরহাব খানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁর ছেলে জনি খানকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মান্নান খান বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ আমলি আদালত ৪-এ পিটিশন মামলা দায়ের করলে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মানিক দাস মামলাটি আমলে নিয়ে গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে টঙ্গিবাড়ী থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশে দেন।
পরে টঙ্গিবাড়ী থানা মামলাটি এফআইআর হিসেবে নিয়ে আসলাম হালদার ভোলা নামের আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এই মামলায় ৯ আসামি আজ জামিন আবেদন করলে জামিন বাতিল করে আজ তাঁদেরও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।