ডামুড্যা, (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের প্রিয়কাঠি গ্রামে প্রেমিকার ঘরের জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম সরোয়ার হোসেন কাজল (২৬)। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।
সরোয়ার হোসেন কাজলের বাবা আলী আফজাল খান জানান, কাজল এমবিএ ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পাশাপাশি একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করতেন। হঠাৎ করে গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাড়ি আসেন। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করে রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েন। বাড়ির লোকজনও শুয়ে পড়ে। কারও ফোন পেয়ে কাজল বাইরে যান।
আলী আফজাল বলেন, ‘গভীর রাতে হাসপাতাল থেকে ফোন আসে আমার বাবায় মারা গেছে! কেউ বলে গলায় ফাঁসি দিয়েছে, আবার কেউ বলে ওকে কেউ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি আসল সত্য জানতে চাই। আর যদি কেউ আমার বাজানেরে হত্যা করে থাকে, তাহলে এর সঠিক বিচার চাই।’
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে কাজল সবার ছোট। পাশের বাড়ির অনার্স পড়ুয়া সিথিনের (২১) সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য হয়েছে বলেও কেউ জানেন না।
নিজ ঘরের জানালায় প্রেমিকের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সিথিন। তাঁর চিৎকার শুনে লোকজন এসে কাজলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সিথিনের মা হালিমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে কান্না করতে করতে অচেতন হয়ে যায়। এখন তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছি।’
ডামুড্যা থানার ওসি শরীফ আহমেদ বলেন, ‘কাজল নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে ডামুড্যা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’