মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে পাটখড়ি বোঝাই ট্রলারে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনার ৩২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মামলা নিচ্ছি না পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হরিরামপুর থানার ওসি।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর বাজার এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা নেয়নি পুলিশ। ট্রলারের মাঝি ও শ্রমিকেরা জানান, থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দিলেও এখনো মামলা নেয়নি পুলিশ। এমনকি তারা গতকাল রাতে দুই বার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। আজকে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করতে চাইলেও পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের কয়েকজনের নামে এই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
অগ্নিকাণ্ডের শিকার নৌকার মাঝি আক্কাস বলেন, ‘গতকাল রাতে মামলা করার জন্য থানায় গেলেও থানা থেকে মামলা নেয়নি। রাত ১২টা পর্যন্ত থানায় ছিলাম আমরা। তবে আজকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি। তারপরও মামলা নেয়নি পুলিশ। পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে তদন্তের পর মামলা নেওয়া হবে।’
পাটখড়ির মালিকের ছেলে সামসুল হক বলেন, ‘গতকাল আমরা রাত ১২টা পর্যন্ত থানায় ছিলাম। আমাদেরকে বলছে থানার কম্পিউটার নষ্ট তাই আজ মানলা নিতে পারছি না। কালকে সকালে আসেন। আজকে আমরা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করতে চাইলেও এসআই আমির হামজা দুজন আসামির নাম বাদ দিতে বলেছে।’
ট্রলারে থাকা পাটখড়ির মালিক ইউনুস বলেন, এসআই আমির হামজা প্রথমে চারজনের এবং পরবর্তীতে দুজনের নাম বাদ দিতে বলেছেন।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, অভিযোগ প্রাথমিকভাবে তদন্ত চলছে। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেন। প্রাথমিক তদন্তের পর আজই মামলা নেওয়া হবে।
অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করছেন এসআই আমির হামজা। তিনি সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোবাইলে বলেন, আমি এখন তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে আছি। আসামিদের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে বলেন, মিথ্যা অভিযোগ।