সোহেল রানা, ঢামেক
রাজধানীর গুলিস্তানে পথচারী এক নারীর কানের দুল ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। তবে এ ঘটনার দুই দিন পার হলেও এখনো আসামির পেট থেকে কানের দুল বের করা সম্ভব হয়নি।
আজ সোমবার বিকেলে হাসপাতালের ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ পাহারায় আছেন আসামি রুবেল (২৫)। পাহারায় থাকা পুলিশ সদস্যরা জানান, আজকে একটু পায়খানা করেছেন আসামি। কিন্তু কানের দুলটি বের হয় নাই।
হাসপাতালের ২১৮ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা বলেন, ‘আমরা চেষ্টায় আছি পেট থেকে কানের দুলটি বের করার। আজকে একটু পায়খানা করেছে। তবে দুলটি বের হয় নাই। তবে শিগগিরই বের হয়ে আসবে।’
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মো. রাসেল বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে ওই ছিনতাইকারীর সঙ্গেই হাসপাতালে ছিলাম। গতকাল সারা দিন হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়েছে। এতে আমার চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। হাসপাতাল বা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো খরচ বহন করা হয় নাই। গতকাল থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে পুলিশ সদস্য পাহারায় আছে।’
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুবীর কুমার কর্মকার বলেন, ‘গতকাল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। আসামি পুলিশ পাহারায় ভর্তি আছে। এখন পর্যন্ত কানের দুলটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’ টাকা খরচের বিষয়ে বলেন, ‘ভুক্তভোগীরাসহ আমাদেরও টাকা খরচ হয়েছে।’
গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলার পর সেই দুল গিলে ফেলে। পরে তাঁকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে পথচারীরা।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ সোনিয়া আক্তার বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে থাকি। কেনাকাটার জন্য স্বামী রাসেল ও ছেলেকে নিয়ে গুলিস্তান এসেছিলাম। গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ায় বাস থেকে নেমে রাস্তা পার হওয়ার সময় পেছন থেকে এক ছিনতাইকারী আমার ডান কানের দুল ধরে টান দেয়। স্বর্ণের দুল নিয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীর পিছু নেন আমার স্বামী। কিছুদূর গিয়ে তাকে ধরে ফেললে তখন সে দুলটি গিলে ফেলে। তখন স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দেন।’
ভুক্তভোগীর স্বামী মো. রাসেল বলেন, ছিনতাইকারীকে ধরতে গিয়ে তিনি নিজেও রাস্তায় পড়ে যান। পায়ে সামান্য ব্যথাও পান। তবুও তাঁর পিছু ছাড়েননি। তাঁকে ধরে ফেলার পর দুলটি মুখে ঢুকিয়ে ফেলেন। অনেকবার বলার পরও তিনি মুখ থেকে দুল বের করে দেননি।