ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যু রহস্য তদন্তে নামার পর শক্তিশালী মাদক এলএসডির (লিসারজিক অ্যাসিড ডাইইথিলামাইড) তথ্য পায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাইকেডেলিক ড্রাগ হিসেবে পরিচিত এ মাদক। বিশেষ করে ত্রিশের দশকে প্রথম ল্যাবে তৈরি মাদকটি নিয়ে ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। মারাত্মক মতিভ্রম সৃষ্টিকারী এই মাদক নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। দশকটির মাঝামাঝিতেই যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মাদকটি নিষিদ্ধ করা হয়।
এই ভয়ংকর মাদকের সন্ধান পাওয়া গেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। পুলিশ বলছে, হলিউডি সিনেমার মাধ্যমে এ দেশের মানুষ এ মাদকের সঙ্গে পরিচিত হলেও বাংলাদেশে এটির ব্যবহার সম্পর্কে আগে জানা যায়নি।
হাফিজুরের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা বিভাগ জানতে পারে, তিনি এলএসডি নিয়েছিলেন।
এলএসডির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি ও লালমাটিয়া থেকে তিনজনকে আটক করেছে ডিবি। তাঁরা হলেন সাদমান সাকিব, আসহাব ওয়াদুদ ও আদিব আশরাফ।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, হাফিজুরের বন্ধুদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রথমে সাদমান সাকিব রূপলকে ধানমন্ডি থেকে আটক করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের বহিষ্কৃত ছাত্র। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য নিয়েই আদিব আশরাফ ও সাদমান সাদিককে আটক করে পুলিশ।
তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় একেকটি এলএসডি ব্লটের দাম তিন হাজার টাকা। তাদের কাছ থেকে ২০০ ব্লট উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে একেবারেই নতুন। এ বিষয়ে তারা আরও তদন্ত করছে। এ নিয়ে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আজ বেলা ২টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।