কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মোবাইল ফোন হারানোকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে মো. শরীফ (২৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ সকালে নিহতের বাবা আলী আকবর বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় নয়জনের নাম উল্লেখসহ ছয়-সাতজনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করে।
এর আগে গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের সাদকখালী চৌরাস্তা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. শরীফ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের উলুখলা গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত লিয়ন একই উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন করিমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলুখলা গ্রামের বকুল (৫৫), সোহেল (৫০), সুলতানা (৩০), হেলিম (২৫), উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের ফিরুজা (৪৮)।
এলাকাবাসী জানান, দুই দিন আগে উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের সাদকখালী চৌরাস্তা বাজারে ব্যবসায়ী শরীফের মুদিদোকানে কিছু মালামাল কিনতে আসেন লিয়ন। মালামাল কিনে যাওয়ার সময় দেখেন তাঁর হাতের বাটন মোবাইল ফোনটি নেই। তখন লিয়ন মুদিদোকানি শরীফকে দোষারোপ করেন, তাঁর ফোনটি শরীফ লুকিয়ে রেখে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এলাকাবাসী আরও জানান, এ ঘটনার জেরে গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে দোকানে গিয়ে মুদিদোকানি শরীফকে ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে পালিয়ে যান লিয়ন। পরে স্থানীয় তাঁকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের চাচা শাহজাহান বলেন, ‘মোবাইল ফোন-সংক্রান্ত ঝামেলা মূল বিষয় না। শরীফের দোকান থেকে লিয়ন বাকিতে কেনাকাটা করত। বকেয়া টাকা চাওয়ার কারণেই মূলত মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা সাজায় লিয়ন। আমার ভাতিজার ওপর মিথ্যা দোষ দিয়ে হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।’
করিমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে এজাহারে উল্লিখিত পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত লিয়নকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।