বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ তিন জনের বিরুদ্ধে করা মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ কামাল হোসেন এ নির্দেশ দিন। একইসঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ২৭ অক্টোবর আগের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে অধিকতর তদন্তের জন্য আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। ওই দিন আংশিক শুনানি শেষে আজ ১ ডিসেম্বর আরও শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, দুদক যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন সেটিতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। অন্য কারো তদন্ত কর্মকর্তা দিয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ ফালুসহ আরও দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেন এবং চার্জশিটে পলাতক দেখানো হওয়ায় তাঁর (ফালু) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ফালুকে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু তিনি আদালতের আদেশ পালন করেননি। এরপর মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
মামলায় অপর আসামিরা হলেন—আরএকে সিরামিকস অ্যান্ড রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসকে ইকরামুজ্জামান এবং স্টার সিরামিক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ একে আনোয়ারুজ্জামান। তাঁরা জামিনে আছেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ম. গুলশান আনোয়ার প্রধান গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৯ সালের ১৩ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় ফালুসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুবাইয়ে ১৮৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় মামলা করে দুদক।
মামলার এজাহার মতে, ফালু ও অপর তিন ব্যবসায়ী আরএকে সিরামিকস ও রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির এমডি এসএকে একরামুজ্জামান, স্টার সিরামিকস লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ একে আনোয়ারুজ্জামান এবং পরিচালক ম. আমির হোসাইন দুবাইতে ২০১০ সালে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ট্রাই স্টার লিমিটেড ও ডেভেলপমেন্ট ইইউই নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তাঁরা অবৈধভাবে দেশটি থেকে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচার করেন।
আদালতের নির্দেশ মতে, এ মামলার সূত্রে দুদক ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর ফালুর ৩৪৩ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করে।