মুন্সিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এজলাস চলাকালে জালাল হোসেন (৩৫) নামে এক বহিরাগত ব্যক্তির ব্লেডের আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জালাল ও তাঁর স্ত্রী রীনা বেগমকে (৩০) আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক জামাল উদ্দিন।
আহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম মোহাম্মদ আলী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আদালতের স্টেনোগ্রাফার নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আজ দুপুর দেড়টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমানের এজলাসে একটি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল। এ সময় জালাল নামে ওই ব্যক্তি এজলাস কক্ষের ভেতরে ঢুকে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে জাপটে ধরেন। পরে নাটকীয় ভঙ্গিতে বলতে থাকে যে, “আমি জবানবন্দি দিতে চাই”। কিন্তু তিনি ওই মামলার সঙ্গে জড়িত নন। এ সময় উপস্থিত কয়েকজন তাঁকে ধরতে গেলে জালাল তাঁর হাতে থাকা ব্লেড দিয়ে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে পুলিশ কনস্টেবল শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান। পরে অন্য পুলিশ সদস্যরা আদালতের এজলাস থেকে জালালকে আটক করেন।’
আহতের বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এম এ কালাম বলেন, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে কোর্ট থেকে এক পুলিশ সদস্যকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক জামাল হোসেন বলেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে, ওই বহিরাগত জালাল ও তাঁর স্ত্রী রীনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।