গাজীপুরের শ্রীপুরে এক নারীকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তাঁর স্বজনেরা। এ ঘটনায় শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে এক নারীসহ চারজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৫০), মৃত হাফিজ উদ্দিন তালুকদারের ছেলে কবির হোসেন তালুকদার (৪৫), মো. লিটন মিয়া (৩০) ও বাবুল মিয়ার মেয়ে আশামনি (২৫)।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘বিকেলের দিকে আমার স্বামী বাড়ির পাশের পুকুরে মাছের খাবার দিতে যায়। এ সময় অভিযুক্তরা পূর্ব আক্রোশের জেরে আমার স্বামীকে মারধর ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি আমার স্বামীর ডাক-চিৎকারে দৌড়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরপরই ওরা আমাকে মারধর শুরু করে। এরপর আমার পরনের জামাকাপড় খুলে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে।’
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, ‘বিকেলে মাছের খাবার দিতে পুকুরপাড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে মারধর শুরু করে। আমার ডাক-চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী এগিয়ে এলে তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁকে বিবস্ত্র করার ও চুল কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে ওরা। এরপর আশপাশের লোকজন এসে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।’
অভিযুক্ত কবির হোসেন তালুকদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. লোবনা বলেন, ‘মারধরের ঘটনায় এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে বিভিন্ন টেস্ট করতে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’