Ajker Patrika
হোম > অপরাধ > ঢাকা

প্রতারণার ফাঁদ দয়াল ভক্ত সমবায় সমিতি

ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি

প্রতারণার ফাঁদ দয়াল ভক্ত সমবায় সমিতি

নান্নু খান। স্থানীয় বাজারে মাছের ব্যবসা করতেন। হঠাৎ করেই খুলে বসেন একটি সমবায় সমিতি। ১২ জন কর্মী নিয়োগ করে অস্বাভাবিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে সদস্য সংগ্রহ শুরু করেন। বড় অংকের ডিপোজিট জমে যাওয়ার পর ঋণ বিতরণ, জমি কেনাসহ নানা খাতে বিনিয়োগ শুরু করেন তিনি। কিন্তু সঞ্চয়ের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর বেঁকে বসেছেন সমিতির সভাপতি। 

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দয়াল ভক্ত সমিতির (রেজি: নং-০০০২০) সভাপতি নান্নু খান এভাবে বিপাকে ফেলেছেন সহস্রাধিক গ্রাহককে। 

ভুক্তভোগীরা বলছেন, সমিতিতে সঞ্চয়ের প্রায় ২ কোটি টাকা রয়েছে। আরও ১ কোটি টাকার জমি কেনা হয়েছে। সমিতির নামে কেনার কথা বললেও এখন জানা যাচ্ছে জমিটি নিজের নামে দলিল করেছেন নান্নু খান। স্থানীয়ভাবে দেনদরবার করে টাকা ফেরত পেতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

ভুক্তভোগীদের পক্ষে উপজেলার কাজল আক্তার আজ শুক্রবার বিকেলে ডামুড্যা উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় প্রতারণার শিকার অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

লিখিত অভিযোগে জানানো হয়, দয়াল ভক্ত সমিতি ২০০৮ সালে ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চররাম রায়ের কান্দীতে কার্যক্রম শুরু করে। নান্নু খান (৩৭) এ সমিতির সভাপতি। তিনি স্থানীয় হাশেম খানের ছেলে। 

অল্প সময়ে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে দারুল আমান, পূর্ব ডামুড্যা, উত্তর ডামুড্যা, ডামুড্যা বাজার এলাকার ১ হাজার ১০০ নারী-পুরুষকে সদস্য করা হয়। তাঁরা দৈনিক ও মাসিক সঞ্চয় জমা করেন। ২০ শতাংশ মুনাফা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সঞ্চয় স্কিম চালু করা হয়েছিল। 

সমিতির সদস্যরা লভ্যাংশসহ টাকা ফেরত পেতে গত ৬ এপ্রিল সঞ্চয় বই জমা দেন। এরপরই সমিতির সভাপতি নান্নু খান পালিয়ে যান। 

দয়াল ভক্ত বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি নান্নু খান। ছবি: আজকের পত্রিকাদয়াল ভক্ত সমিতির কার্যালয় বর্তমানে তালাবদ্ধ। নান্নু খানের ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিম্মায় তিনি লোক সম্মুখে আসেন। এ নিয়ে একাধিকবার দেন দরবার হয়। সমিতির কথা বলে নিজের নামে কেনা কোটি টাকার একটি জমি বিক্রি করে গ্রাহকদের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব উঠলেও তাতে তিনি রাজি হননি। 

ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যরা বলেন, তাঁদের সঞ্চয়ের পরিমাণ সব মিলিয়ে অন্তত ৩ কোটি টাকা। দেনদরবারে কাজ না হওয়ায় তাঁরা টাকা ফেরত পেতে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানা পুলিশ ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

দয়াল ভক্ত সমিতির সভাপতি নান্নু খান বর্তমানে এলাকাতেই অবস্থান করছেন। গ্রাহকদের টাকা ফেরতের বিষয়ে জানতে চাইলে নান্নু খান বলেন, আমি আমার নামে যে জমি কিনেছি সেটি বিক্রি করে সব গ্রাহকের পাওনা আস্তে আস্তে পরিশোধ করবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রাশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দয়াল ভক্ত সমিতির বেশ কিছু গ্রাহক আমার অফিসে এসে সমিতির কমিটির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে আমি জেলা সমবায় কর্মকর্তাকে অবহিত করি। জেলা সমবায় কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে দিয়েছেন। বর্তমানে তদন্ত কার্যক্রম চলমান।

গাবতলীর শাহী মসজিদ বস্তিতে আগুন, পুড়ে গেছে শতাধিক বাড়ি

নেতৃত্বের শূন্যতায় নগর জীবনে দুর্ভোগ চরমে

আয়োজন বেশি, ক্রেতা কম

গুলশানের একটি বাড়িতে মব তৈরি করে লুটপাট

জ্বলে না চুলা, ইফতারি তৈরিতে হিমশিম রাঁধুনি

‘পর্দা’ না করায় ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা করা কর্মচারী আটক

তরমুজ নিয়ে ব্যবসায়ী ও ছাত্রদল নেতার মারামারি

ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাকে পিটিয়ে জখম

মা-বাবাসহ ৭ জনকে কোপালেন যুবক, একজনের মৃত্যু