টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তদের হামলায় বাবলু সরকার (৪৫) নামে এক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বাবলু উপজেলার চৈথট্ট গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং প্যানেল চেয়ারম্যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের পরিবার ও ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজাত আলী খান।
বাবলুর স্ত্রী শাহিনা বেগম জানান, গত ২৫ আগস্ট বিকেলে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে কথা বলতে উপজেলার পাকুটিয়া এলাকার দুলাল মাস্টার এবং রিপন তাঁকে পাকুটিয়া যেতে বলেন। ফোন কল পেয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি পাকুটিয়া যায়। রাত ৮টার দিকে তাঁর ভাতিজা সাইদ ফোন করলে তিনি গাড়িতে করে টাঙ্গাইল যাচ্ছেন বলে জানান। এরপর থেকেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বাবলুর বড় ভাই ইয়ার মাহমুদ বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে এক ব্যক্তি বাবলুর মেয়ে লাবনীর কাছে কল করে জানান, বাবলুকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে যান। সেখান থেকে ওই রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।’
বাবলুকে উদ্ধারকারীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইয়ার মাহমুদ বলেন, ‘মির্জাপুর উপজেলার কাছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশ থেকে অর্ধমৃত অবস্থায় বাবলুকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করান।’
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বাবলুর স্ত্রী বলেন, ‘ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে বাবলুর মাথার পেছনে আঘাত করা হয়েছে।’
স্ত্রী শাহিনা ও বড় ভাই ইয়ার মাহমুদ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে পার্শ্ববর্তী পাঞ্জানা গ্রামে সালিস করেছিলেন বাবলু। এ কারণে একটি পক্ষের সঙ্গে তাঁর শত্রুতা সৃষ্টি হয়েছিল।
দেউলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সুজাত আলী খান জানান, বাবলু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’