Ajker Patrika
হোম > অপরাধ > ঢাকা

করিমগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

করিমগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে মোছা. ফেনা ওরফে হেনা আক্তারকে (২৮) শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, নিহত নারীর স্বামী মো. খোকন মিয়া, খোকনের বোন জরিনা খাতুন ও মামাতো ভাই জালাল মিয়া। এ ছাড়াও আদালত মো. খোকন মিয়াকে ৫০ হাজার, জালাল মিয়াকে ৩০ হাজার ও জরিনা খাতুনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় বিচারক অন্য তিন আসামিকে মামলা থেকে খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, শ্বশুর ইমান আলী, শাশুড়ি কমলা খাতুন ও ভাশুর সাইদুর রহমান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া গ্রামের খোকন মিয়া ২০০৪ সালে মোছা. ফেনা ওরফে হেনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাঁদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। এদিকে যৌতুকের লোভে স্বামী, ননদ ও মামাতো ভাশুর এক লাখ টাকা দাবি করে। ফেনা ওরফে হেনা আক্তারকে চাপ সৃষ্টির একপর্যায়ে মানসিক অত্যাচার ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। পরবর্তীতে ৪০ হাজার টাকা ও দোচালা টিনের ঘরসহ একটি গাভি দেন হেনা আক্তারের ভাই ও বাবা।

২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর জালালের কুপরামর্শে হেনা আক্তারের ওপর যৌতুকের জন্য ঘুম থেকে উঠিয়ে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে জালাল, খোকন মিয়া ও জরিনা আক্তার হেনাকে কিল ঘুষি মারে এবং চুলে ধরে টেনে হিঁচড়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এমন সময় হেনা চিৎকার শুরু করলে খোকন মিয়া, জালাল মিয়া ও জরিনা আক্তার মোছা. হেনা আক্তারকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক এস এম জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এম এ আফজল আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আকন্দ ও অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এমএ আফজল বলেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে আবারও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। আমরা আনন্দিত।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী শ্যামল কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে আপিল করব।’ 

মামলার বাদী হেনা আক্তারের ছোট ভাই সাইকুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আর কোনো মা-বোনেরা যেন যৌতুকের জন্য প্রাণ না হারায়। আমরা বিচার পেয়েছি।’

গাবতলীর শাহী মসজিদ বস্তিতে আগুন, পুড়ে গেছে শতাধিক বাড়ি

নেতৃত্বের শূন্যতায় নগর জীবনে দুর্ভোগ চরমে

আয়োজন বেশি, ক্রেতা কম

গুলশানের একটি বাড়িতে মব তৈরি করে লুটপাট

জ্বলে না চুলা, ইফতারি তৈরিতে হিমশিম রাঁধুনি

‘পর্দা’ না করায় ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা করা কর্মচারী আটক

তরমুজ নিয়ে ব্যবসায়ী ও ছাত্রদল নেতার মারামারি

ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাকে পিটিয়ে জখম

মা-বাবাসহ ৭ জনকে কোপালেন যুবক, একজনের মৃত্যু