খালাস চেয়ে আপিল করেছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডল। আজ রোববার তাঁর আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ২৪ মার্চ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে করা মামলায় খালেক মণ্ডলসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলায় তখন চারজন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে খালেক মণ্ডল ও খান রোকনুজ্জামান ছাড়া বাকি দুজন মারা গেছেন। তবে রোকনুজ্জামান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
ওই দিন রায়ের পর খালেক মণ্ডলের আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, খালেক মণ্ডল ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সংসদে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিও ছিলেন তিনি। এখানে অসংখ্য অসংগতি রয়েছে। আশা করি আপিলে খালেক মণ্ডল খালাস পাবেন।
আইনজীবী আরও বলেন, জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে আদালতে টেনে এনে যেভাবে শাস্তি দিচ্ছে, তাতে দেশ রাজনৈতিক নেতৃত্বশূন্য হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। এটা দেশের জন্য মোটেও ভালো হবে না।
২০১৫ সালের ১৬ জুন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসা থেকে কয়েকজন সহযোগীসহ খালেক মণ্ডলকে আটক করে পুলিশ। ওই বছরের ২৫ আগস্ট খালেক মণ্ডলকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। গত বছরের ১১ নভেম্বর মামলার শুনানি শেষ হয় এবং রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ রাখা হয়।