ঢাকার ধামরাইয়ে ব্যক্তিমালিকানার জমির ওপর দিয়ে জোর করে রাস্তা নির্মাণ করছেন সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন। আজ রোববার দুপুরের দিকে এমন অভিযোগ করেছেন সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকার ওই জমির মালিক মুন্নাফ ও আরফান।
জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের শ্বশুর ফরিদ হোসেন ডাউটিয়া এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। সেই মসজিদের জন্যই একটি রাস্তা করে দিতে জামাইয়ের কাছে আবদার করেন ফরিদ হোসেন। শ্বশুরের আবদার রাখতেই গতকাল শনিবার অন্যের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেন চেয়ারম্যান। জমির মালিকদের না জানিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল মালেককে দিয়ে ওই জমিতে মাটি ফেলা হয়। পরে জমির মালিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিলেও মানেননি ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক। একপর্যায়ে জমির মালিকেরা ইউপি সদস্যকে মারতে উদ্যত হলে মাটি ফেলা বন্ধ করা হয়।
জমির মালিক আরফান আলী বলেন, ‘আমরা কিছুই জানি না। আমাদের জমিতে মাটি ফেলার কথা শুনে জমিতে গিয়ে দেখি মালেক মেম্বার মাটি ফেলতেছে। আমরা বাধা দিলেও মেম্বার শোনে না। রাস্তা দরকার হলে দিব, কোনো সমস্যা নাই। আমার পাশের যার জমি আছে সে ৩-৪ ফুট দিবে এবং আমরা ৩-৪ ফুট জমি দিলে সুন্দর রাস্তা হয়ে যাবে। তা না করে শুধু আমার জমির ওপর দিয়েই ২০ ফুট করে মাটি ফেলতেছে। এটা তো কেউ মানবে না। একটা মসজিদের জন্য কি ২০ ফুট রাস্তার প্রয়োজন হয় নাকি!’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোমভাগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, ‘ওই পাশেই চেয়ারম্যানের শ্বশুর একটি মসজিদ বানিয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি বাড়ি আছে। যার জন্য একটি রাস্তা প্রয়োজন। সব জমির মালিকের মাতবর হচ্ছে আরফান। তাই শুধু তার সাথে এর আগে মসজিদে বসে কথা হয়েছিল রাস্তার জন্য জমি দিবে। এর জন্য চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী গতকাল ট্রাক দিয়ে মাটি ফেলি। কিন্তু সে সময় জমির মালিক আরফান, বাহাদুর, মুন্নাফ আমাকে মারতে আসে এবং খারাপ ভাষায় বকাঝকা করে। পরে চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী মাটি ফেলা বন্ধ রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন বলেন, ‘দুই পাশের জমি থেকে ৩ ফুট করে ৬ ফুটের রাস্তা তৈরি করা হবে। আমার মেম্বারকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম, সে হয়তো গরমিল করে ফেলছে। মাটি ওখানে রেখে দিতে বলেছিলাম, পরে দুই পাশে ফিতা ধরে সমান করে মাটি ফেলব। একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে হয়তো। জমির মালিকদের সাথে বসে এটা ঠিক করে ফেলব, সমস্যা নাই।’