কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চুরির প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে বাবলু মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার পশ্চিমপাড়ার আওয়াল বিড়ি কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাবলু মিয়া কটিয়াদী পৌরসভার পশ্চিমপাড়া মহল্লার নদীর চর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় নূরে আলম (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সিঁধ কেটে বাবলু মিয়ার ঘরে ঢুকে মোবাইল ফোন ও বিদেশ যাওয়ার জন্য জমানো টাকা চুরি করে নিয়ে যান নূরে আলম। চুরির সময় বাবলু মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (৮) চোরকে চিনে ফেলে।
আজ সকালে আব্দুল্লাহ তাঁর বাবাকে জানায়, ঘরে চুরি করতে আসা দুজনের মধ্যে প্রতিবেশী নূরে আলম ছিলেন। ছেলের বক্তব্যের ভিত্তিতে বাবলু মিয়া এলাকার কাউন্সিলরসহ কয়েকজনকে বিষয়টি জানান। চুরির অভিযোগ করা হয়েছে শুনে নূরে আলম বাবলু মিয়াকে খুঁজতে থাকেন। এদিকে বাড়ির কাছের এক দোকানের সামনে বাবলু মিয়া ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে চুরির ঘটনা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তাঁদের দেখে নূরে আলম বিচার দেওয়ার বিষয়টি জানতে চান এবং লোকজনের সামনে কথা না বলে বাবলু মিয়া ও তাঁর ছেলেকে ডেকে একটু দূরে নিয়ে যান। সেখানে নূরে আলমের বাবা রইছ উদ্দিন, বড় ভাই ফজলুসহ তাঁর পরিবারের আরও কিছু লোক অপেক্ষায় ছিলেন। পরে সেখানে চুরির বিচার দেওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় কথা-কাটাকাটি।
একপর্যায়ে নূরে আলম ছুরি দিয়ে বাবলুর গলায় আঘাত করে চলে যান। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ নূরে আলমকে আটক করেছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এ ছাড়া বাবলুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’