অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যে ২৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দেহ ২০০ টিরও বেশি টুকরা করেন, যা যুক্তরাজ্যবাসীকে হতবাক করেছে। হত্যার পরে তিনি গুগলে সার্চ করে দেখেছিলেন—স্ত্রীকে হত্যা করে কী সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া তাঁকে কেউ তাড়িত করতে পারে কি না। এক কথায় বলতে গেলে, তিনি গুগল থেকে স্ত্রী হত্যার লাভ-ক্ষতি জেনেছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, হত্যার পর টুকরা করা মরদেহ নদীতে ফেলার আগে এক সপ্তাহের বেশি সময় রান্নাঘরে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন এই খুনি। মরদেহ নদীতে ফেলতে সহায়তা করেছেন তাঁর এক বন্ধু।
নিকোলাস মেটসন (২৮) নামের ব্যক্তিটি স্ত্রী হলি ব্রামলিকে (২৬) হত্যার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও এক সপ্তাহ পর তা স্বীকার করেন। তাঁর বাসায় পুলিশ তদন্তে এলে তিনি তাদের সঙ্গেও মজা করেন। তিনি বলেন, তাঁর স্ত্রী খাটের নিচে লুকিয়ে থাকতে পারে।
স্ত্রীকে হত্যার পর তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ অপসারণের জন্য তাঁর এক বন্ধুকে ৫০ পাউন্ড দিয়েছিলেন। সেই বন্ধু একটি টেক্সটের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘একটি মরদেহ অপসারণের জন্য মাত্র ৫০ পাউন্ড পেয়েছি।’
একদিন সকালে ভিতাম নদীর পাশ দিয়ে একজন হাঁটার সময় মরদেহ রাখা প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো দেখতে পান। একটি ব্যাগে হাত বেরিয়ে ছিল। পরে ডুবুরিরা শরীরের ২২৪টি টুকরো খুঁজে পেয়েছেন। এখনো কিছু অংশ নিখোঁজ। মরদেহটি এমনভাবে কাটা হয়েছিল যে মৃত্যুর কারণ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ছিল বলে আদালতে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ব্রামলির মা আদালতকে জানান, তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়েছে মাত্র ১৬ মাস হলো। তিনি তাঁর মেয়ের জামাইকে ‘দানব’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েকে আমার কাছে অনেক দিন আসতে দিত না। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার অবস্থায় ছিল, এমন সময় হত্যা করা হয়েছে।
জানা যায়, হত্যার পরে নিকোলাস মেটসন গুগলে সার্চ করে, স্ত্রীকে হত্যা করলে কী লাভ হবে এবং তাকে কী কী বিষয় তাড়িত করবে তা জেনেছেন।